আম পান্না হলো ভারত এবং বাংলাদেশের একটা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর গ্রীষ্মকালীন পানীয় যা কাঁচা আম, চিনি, বিটনুন, ভাজা মশলার গুঁড়ো, চাটমশলা সহযোগে তৈরী হয়, যা বাঙালিদের কাছে কাঁচা আম এর শরবত এবং আম পোড়ার শরবত নামেও পরিচিত. এটি অতি সহজেই বাড়িতে বানানো যায়.
প্রথমেই আমগুলো ভালো করে জলে ধুয়ে ফেলুন. তারপর আমের খোসা ছাড়িয়ে লম্বা করে কেটে আবার একবার জলে ধুয়ে নিয়ে প্রেসার কুকার এ পরিমাণমতো(৩০০ মিলি মতো) জল আর ১ চাচামচ নুন দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন.
প্রেসার কুকারকে গ্যাস এর সর্বোচ্চ আঁচে বসান আর ৩-৪ টি সিটি পড়তে দিন. গ্যাস বন্ধ করুন. যখন প্রেসার কুকার ঠান্ডা হবে তখন সেদ্ধ করা আম এর টুকরো গুলো জল থেকে ছেঁকে আলাদা করুন.
আম পান্নার ভাজা মশলার গুঁড়ো বানানোর জন্য একটি প্যানে বা কড়াইতে গোটা জিরে, একটা গোটা শুকনো লঙ্কা আর গোটা গোলমরিচ শুকনো খোলায় ভেজে, ঠান্ডা করে গুঁড়িয়ে নিতে হবে.
ব্লেন্ডার(মিক্সার এ) জল থেকে ছেঁকে রাখা সেদ্ধ আম, পুদিনা পাতা, ভাজা মশলার গুঁড়ো, বিটনুন, চাটমশলা, রান্নার নুন, চিনি আর ৫০ মিলি মতো জল(আম সেদ্ধর জল ব্যবহার করতে পারেন) নিন.
প্রথমে সমস্ত উপকরণগুলিকে একসাথে মিক্সিতে ভালোভাবে পিষে একটা মসৃন পিউরি /পেস্ট বানাতে হবে. এই পিউরিটা খুবই ঘন, এতে পরিমানমতো জল মিশিয়ে আমের পান্না তৈরী করতে হয়.
ওই পিউরিতে পরিমানমতো ঠান্ডা জল(যত গ্লাস বানাবেন ঠিক ততটা), বরফের টুকরো, প্রয়োজনে সামান্য নুন চিনি দিয়ে আরো একবার ভালোভাবে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিতে হবে. তাহলেই সুস্বাদু আম পান্না শরবত তৈরী হয়ে যাবে.
কয়েকটা বরফের কুচি, পুদিনার পাতা, ভাজা মশলার গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে এই কাঁচা আমের শরবত পরিবেশন করুন. এইবার পয়লা বৈশাখে এই বাড়িতে বানানো দোকানের মতন আম পান্না খাইয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন.
আম পান্না একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়, গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড গরম এর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে, যেমন - শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে, পিত্তকে ঠান্ডা রাখে, ডিহাইড্রেশন এবং সান স্ট্রোকের হাত থেকেও রক্ষা করে.
আম পান্না মূলত কাঁচা আমকে সেদ্ধ করে বানানো হয় অন্যদিকে আম পোড়ার শরবত বানাতে কাঁচা আমকে আগুনে পুড়িয়ে নিতে হয়. তারপর খোসা ছাড়িয়ে আম পান্নার মতো একই পদ্ধতিতে বানানো হয়. তাই আম পোড়ার শরবত এ একটা ধোঁয়া গন্ধ থাকে.